রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘চিকিৎসকরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন, সেভাবেই তার চিকিৎসা হবে।’
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি বিএনপি নেত্রীকে একটি বিশেষ এমআরআই করানোর জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান বিএনপি নেতারা।
নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন দোতলা থেকে নামতে পারছেন না। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। এ কারণে তারে জরুরি ভিত্তিতে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।’
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার জেলকোড অনুযায়ী যেসব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা, তার সবই তিনি পাচ্ছেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে এর বাইরে গিয়েও চিকিৎসা করানো হবে। ইউনাইটেডে এমআরআই করার বিষয়েও তাদের পরামর্শ অনুযায়ীই ব্যবস্থা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জেল কোড অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। যেমন ৭/১০/১৫ দিন- এই সময়ের পর পর দেখা করতে হয়। আমি সঠিক সময়টা জানি না। সেই নির্ধারিত সময় পর পর কিন্তু খালেদা জিয়ার আত্মীয় বা রাজনৈতিক নেতারা দেখা করছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন তিনি (খালেদা জিয়া) মাঝে মাঝে বলছেন তিনি সবার সঙ্গে দেখা করবেন না। উনাকে যেন দেখা করতে আসা লিস্টটা আগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি যার সঙ্গে দেখা করতে চান তার সঙ্গে দেখা করবেন। তাকেই নিয়মানুযায়ী দেখার ব্যবস্থা করা। সে অনুযায়ী কিন্তু যখনই তার কোনো আত্মীয় বা রাজনৈতিক নেতারা আসছে তাদেরকে দেখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) আগে থেকেই কতগুলো রোগে ভুগছেন। যেমন আর্থরাইটিস, স্পন্ডেলাইটিস এই ধরনের এবং ডায়াবেটিক, এই সমস্ত রোগে তিনি ভুগছেন। আমাদের চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা করেছেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে আমরা তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করাই। সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা যেসব পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেগুলো আমরা একের পর এক পরামর্শ নিচ্ছি।’
‘তিনি (খালেদা জিয়া) কয়েকজন ডাক্তারের কথা বলেছিলেন। এসব বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা তার চিকিৎসা সেবা দিতেন। তিনি তাদের সাথে পরামর্শ করার জন্য আমাদেরকে জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। আমরা সেগুলো কিন্তু ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’
‘যেসমস্ত চিকিৎসক তাকে সেবা দিতেন, সে সমস্ত চিকিৎসক তার স্বাস্থ্য, শারীরিক অবস্থা সবই পরীক্ষা করেছেন। তারা আরও কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলেছেন।’
‘এর মধ্যে একটি পরীক্ষা, যেমন এমআরআই। এটা করা একটু ডিফিকাল্ট আছে। তার আর্টিফিশিয়াল নি (কৃত্রিম হাঁটু) তার শরীরে সংযোজিত আছে। এই ধরনের মেটাল যাদের থাকে, এমআরআই তারা করতে পারে না।’